শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
রফিকুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধিঃ জীবন বাচাতে ও রক্ষা করতে ঔষুধের প্রয়োজন অপরিহার্য। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে গেলে কেমন পরিমাণ টাকা লাগে. তা কি কখনও আমরা লক্ষ্য করিছি। তেল সহ নিত্য পন্যের দাম বাড়লেই.ক্রেতা সাধারণ তর্কবিতর্ক ও সমালোচনায় জড়িয়ে পড়ে. এমনকি সরকারের গুষ্ঠি উদ্ধার করে দেই। আসলে ওষুধের গায়ে মূল্য না থাকাই. ক্রেতা সাধারণ বুঝতে পারে না.দাম কোনটা কত। রোগ হলেই আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না। একটু শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই আমরা. বিষেজ্ঞ ডাক্তারের শরনাপন্ন হই। আর ডাক্তার বাবুরা প্রেসক্রিপশন ভরে ঔষধ লিখে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন.এই ওষুধ কিনতে কত টাকা লাগে. আমরা কখনও তা বোঝার বা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করিনা। খালী কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালী ওষুধের দোকানে। ফার্মেষ্টিরা ওষুধের দাম ন্যায্য মূল্য নিচ্ছেন কিনা. নাকি খামখেয়ালীপনা ভাবে দ্বীগুন হারে হাতিয়ে নিচ্ছেন তা বোঝার কোন উপায় থাকেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ওষুধ ক্রেতা বলেন. ডাক্তারের কাছে গেলে তাদের পরামর্শ ফি সর্বনিম্ন ৬শ থেকে. ১২শ টাকা পযর্ন্ত গুনতে হয়.আর এই প্রেসক্রিপশন দিয়ে ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে গেলে. একেক সময় একেক রকম বিল গুনতে হয়। যা কোন দোকানের সাথে অন্য কোন দোকানের বিলের সাথে কোন মিল নাই.ব্যাপক ফারাক রয়েছে। বিশেষ করে গরীব অসহায় ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে.অনেক গরীব অসহায় রোগ গ্রস্ত রোগীরা টাকার অভাবে অভিমান করে ওষুধ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকেন। ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন না করাই এমনটি হয়ে থাকে। সব ওষুধের গায়ে মূল্য দেওয়া থাকলে. দোকানীরা ইচ্ছে মত বিল নিতে পারত না। ক্রেতা সাধারণের দাবী যেসকল ঔষধের গায়ে মূল্য নেই. সেসব ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন করা হোক। ক্রেতা সাধারণের অহেতুক অর্থ ব্যায় থেকে বাচতে সহায়ক হোক। সরকার ও ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট সচেতন মহল. ক্রেতা সাধারণের দাবি জীবন রক্ষাকারী ঔষধের গায়ে মূল্য নির্ধারণ ও সংযোজন করা হোক।